জীবনে অনেক বড় কিছু পাবার আশায় ছোট ছোট অনেক কিছু ভুলে যাই। যেমনঃ
১. সম্মান
২. সম্পূর্ণ সৎ থাকা
৩. নীরবতা উপভোগ করা
৪. বাবা-মাকে বাদ নিয়ে অন্যকে নিয়ে চিন্তা
৫. মাফ করে দিবেন কিন্তু কখনো ভুলবেন না তাকে। আসলে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জীবনে অনেক বেশী প্রভাব ফেলে। এই বিষয়গুলো মানুষ অবহেলা করার কারনে জীবনে অনেক বিপত্তির আশঙ্কা থাকে।
অন্যকে সম্মান করলে নিজে সম্মানিত হওয়া যায়। এই সত্যটা জানা থাকা সত্ত্বেও মানুষ ভুলে যায়। আসলে দাম্ভিকতা, আত্ত-অহংকার নিয়ে পজিটিভ ফলোদয় হয় না, আশা করাও বৃথা। তবুও মানুষ করে, মানুষকে সম্পূর্ণ রুপে উপভোগ করার যে কি মজা। ভালোবাসার মধ্যে যে কি আনন্দ। মানুষকে বিভ্রান্ত না করে বুঝার চেষ্টা করি। মানুব জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করি। জীবনে অনেক ছোট হই, পজিটিভ কিছু দ্বার প্রান্তে আসবেই। অতিরিক্ত অসম্মানিত আচরণ পরিহার করে নিজেকে আগামীর সফলতায় তৈরী করি।
মিথ্যা বলা, প্রতারণা করা, অন্যের তথ্য নিয়ে আলোচনা করা ইত্যাদি অনেক খারাপ অভ্যাস পরিহার করি। আমাদের একটি সত্য কথা অনেকের জন্য মঙ্গলের কারন হতে পারে। মাঝে মাঝে কিছু সত্য আছে যা আমাদেরকে কলুষমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। তাই সব সময় নিজের সাথে সৎ চেতনার বিকাশ ঘটায়।
পৃথিবীতে মানুষ সারাক্ষণ অনেক আওয়াজ এর মধ্যে বসবাস করে। কখনও ফোনে, কখনো টিভিতে, রেডিওতে এবং অন্যান্য ডিভাইসে মানুষ সংযুক্ত থাকে। কিন্তু কখনও কখনও জীবনে নীরবতারও প্রয়োজনীয়তা আছে। এই নীরবতা মানুষের মনে প্রশান্তি বিরাজ করে। এতে মানুষ মনের ভাবনা গুলো নিজের ধ্যান-জ্ঞানে সঠিক উদ্দেশ্য আলোকিত বুঝতে পারে।
পৃথিবীতে আসার প্রধান কারন হল আপনার আমার বাবা-মা। তাদেরকে কখনও অসম্মান না করি। সব সময় তাদেরকে সম্মান করি। জীবনে কখনও বাবা-মা’র আসনে অন্য কাউকে নির্বাচন না করি। একমাত্র মা-বাবাকে সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং নির্বাচন করে আমাদের হাজারো বিপদ থেকে উদ্ধারে পথ সৃষ্টি করে দিয়েছে।
ক্ষমা করে দেয়া একটি মহৎ গুণ। কারও কোন ভুলের জন্য তাকে যদি আপনি ক্ষমা করে দেন, তবুও তার কৃতকর্ম কথা কখনো ভুলবেন না। জীবনে বন্ধুত্বের সহিত এগিয়ে যাওয়াটাই ভালো, এর জন্য অনেক সময় অনেক কথা ভুলতে হয়। কিন্তু আপনার যে ক্ষতি করেছে, তার সে ক্ষতির কথাটি ভুলবেন না। কারণ ক্ষতিকারক মানুষ কোন দিনও আপনার আর উপকারে আসবে না। যদি আসে তো বুঝবেন আবারও ক্ষতি করছে।